বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশনের সঙ্গে ভোরের কাগজের সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। টেকসই উপকূলীয় সামুদ্রিক মৎস্য প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকারের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পের বিনিয়োগ ও রপ্তানি অংশের অগ্রগতি প্রচারের লক্ষ্যে ভোরের কাগজের সঙ্গে এ সমঝোতা চুক্তি হয়।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩ টায় মৎস্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশনের পক্ষে টিম লিডার গোলাম হুসাইন এবং ভোরের কাগজের পক্ষে সম্পাদক শ্যামল দত্ত চুক্তি সাক্ষর করেন। এছাড়া এসময় একই উদ্দেশ্যে এটিএন নিউজের সঙ্গে মৎস্য ফাউন্ডেশনের আরেকটি সমঝোতা চুক্তি সাক্ষরিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিজসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এসময় তিনি বলেন, চিংড়ি বাংলাদেশের খুবই সম্ভাবনাময় শিল্প। চিংড়ির বহুমুখী ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু স্বল্প লাভের জন্য কিছু অসাধু দুষ্টপ্রকৃতির মানুষ আয়রনে প্লেট ঢুকিয়ে, কেউ কেমিকেল দিয়ে রপ্তানি করায় বিদেশে আমাদের মাছের বাজার নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল। আমরা সবকিছু ঠিকঠাক করেছি। আমাদের প্রাণিজসম্পদের ১০০ প্রজাতির বিলুপ্ত হয়ে গেছিল। গবেষণার মাধ্যমে ৩১ প্রজাতি ফিরিয়ে এনেছি। আধুনিকায়নের বিস্তার ঘটাতে গিয়ে আমাদের অস্তিত্বের শিকড়ের যে জায়গা তা নষ্ট করে ফেলছি। মাছে ভাতে বাঙালির ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে, মংস্য সম্পদে বিনিয়োগ ও উৎপাদন বাড়াতে ব্যাপক জনসচেতনায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি। এ প্রচার প্রচারণা বাড়াতে গণমাধ্যমের সাথে চুক্তির বিষয়টি তিনি সাধুবাদ জানান।

সমঝোতা সাক্ষরের পর ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, বাঙালির জীবনের সাথে মাছের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা খাদ্য উৎপাদনে যে স্থানে আছি, আরও একধাপ এগিয়ে নিতে বিনিয়োগ ও উৎপাদন বাড়াতে হবে। অনেকে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে আমাদের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করতে চায়। তাই গণমাধ্যমের মাধ্যমে সত্য ঘটনা তুলে ধরে জনসচেতনতার মাধ্যমে এর প্রতিহত করা প্রয়োজন। এর জন্য মৎস্য সেক্টরে নিয়োজিত সাংবাদিকদের নিয়ে ‘মিডিয়া ফোরাম’ গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

মিডিয়া ফোরাম গঠনের বিষয়ে একই মত দিয়ে এটিএন নিউজের হেড ওফ নিউজ মুন্নি সাহা বলেন, মৎস্য সেক্টরে নিয়োজিত সাংবাদিকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান, পুরস্কার দেওয়ার মতো কাজগুলো করতে পারলে মৎস্য খাতের বিষয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার হবে। এছাড়া এদেশে মৎস খাত নিয়ে অনেকে ষড়যন্ত্র করতে চায়। আমরা সম্মীলিতভাবে এর প্রতিহত করব।

এসময় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশনের টিম লিডার গোলাম হুসাইন ‘অ্যাকুয়াকালচারের জন্য বিনিয়োগ প্রচার এবং বাজার প্রচার’ বাস্তবায়নের জন্য একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক এবং বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হক বক্তব্য রাখেন।

For more info please visit: https://www.bhorerkagoj.com/2022/02/16/

LEAVE A REPLY